শুক্রবার, ২৭ মে, ২০১৬

রবিবার, ২২ মে, ২০১৬

https://mobile.facebook.com/Ujjal-Kumer-Paike-655210661246071/

fb

কবিতা:-"কথোপকথন- ২" ––– পুর্ণেন্দু পত্রী এতো দেরী করলে কেন? সেই কখন থেকে অপেক্ষা করছি। - কি করবো বলুন ম্যাডাম? টিউশনি শেষ করে বাইরে তখন ঝুম বৃষ্টি। আমার জন্যে তো আর গেইটের বাইরে মার্সিডিজ দাঁড়িয়ে থাকে না যে ড্রাইভারের কুর্নিশ নিতে নিতে হুট করে ঢুকে পড়বো। তাই ঝুম বৃষ্টি মাথায় নিয়ে, কাদা-জল ভেঙ্গে, গরীবের গাড়ি মানে দু’পায়ের উপর ভরসা করেই আসতে হয় আপনার আমন্ত্রণ রক্ষা করতে। তবে আজ রিক্সায় করে এসেছি নইলে একেবারে কাকভেজা হয়ে যেতাম। রিক্সা খুঁজে পেতেই যা দেরী হলো। : ইস্ বেশ ভিজে গেছো দেখছি। কাছে এসো তো, রুমাল দিয়ে মুছে দিই। - ওহো, আমি তো ভেবেছিলাম তোমার শাড়ির আঁচল দিয়ে মুছিয়ে দেবে। ঠিক আছে, রুমালই সই। : না মিস্টার, ওটা ভবিষ্যতের জন্য জমা থাকুক। যখন তোমার বউ হবো তখন ইচ্ছেটা পূরণ হবে। - আচ্ছা। আর যদি তা না হও, তবে আমি বুড়ো বয়েসে পান চিবোতে চিবোতে কোন এক বাদলঘন দিনে বসে বসে রোমন্থন করবো আজকের এই রুমালি ভালোবাসাময় সময়টাকে। নাতিপুতিকে তখন প্রথম প্রেমিকা আর এই রুমালটার গল্প শোনাবো। : প্লিজ, এভাবে বলো না। কেন আমি তোমাকে পাবো না? তুমি কি আমাকে চাও না? আমাকে ভালোবাসো না? - উত্তরটা আসলে একটু কঠিন। তোমাকে চাই আবার চাই না। ভালোবাসি আবার বাসি না। : হেয়াঁলি রাখো। আমি স্পষ্ট জানতে চাই। - তবে শোন। আমার প্রতিদিনের জীবন সংগ্রামের নির্মম বাস্তবতা তোমার জানা নেই। সেই জীবনে তুমি কখনো অভ্যস্ত হতে পারবেও না। তোমাকে একটা প্রশ্ন করি? : হ্যাঁ, করো। - একটু আগে একটা টং-এর দোকানের ছাউনিতে গা বাচিয়ে রিক্সা খুঁজছিলাম। খুব শীত শীত লাগছিলো, তখন চা খেয়েছিলাম ভাঙ্গা কাপে। আধধোয়া সে কাপে লেগেছিলো অনেক মেহনতি মানুষের ঠোঁটের ছোঁয়া, লেগেছিলো থুতুও যা এখনো আমার ঠোঁটে লেগে আছে। তুমি কি পারবে সেই ঠোঁটে চুমু খেতে?

"কথোপকথন- ২" ––– পুর্ণেন্দু পত্রী এতো দেরী করলে কেন? সেই কখন থেকে অপেক্ষা করছি। - কি করবো বলুন ম্যাডাম? টিউশনি শেষ করে বাইরে তখন ঝুম বৃষ্টি। আমার জন্যে তো আর গেইটের বাইরে মার্সিডিজ দাঁড়িয়ে থাকে না যে ড্রাইভারের কুর্নিশ নিতে নিতে হুট করে ঢুকে পড়বো। তাই ঝুম বৃষ্টি মাথায় নিয়ে, কাদা-জল ভেঙ্গে, গরীবের গাড়ি মানে দু’পায়ের উপর ভরসা করেই আসতে হয় আপনার আমন্ত্রণ রক্ষা করতে। তবে আজ রিক্সায় করে এসেছি নইলে একেবারে কাকভেজা হয়ে যেতাম। রিক্সা খুঁজে পেতেই যা দেরী হলো। : ইস্ বেশ ভিজে গেছো দেখছি। কাছে এসো তো, রুমাল দিয়ে মুছে দিই। - ওহো, আমি তো ভেবেছিলাম তোমার শাড়ির আঁচল দিয়ে মুছিয়ে দেবে। ঠিক আছে, রুমালই সই। : না মিস্টার, ওটা ভবিষ্যতের জন্য জমা থাকুক। যখন তোমার বউ হবো তখন ইচ্ছেটা পূরণ হবে। - আচ্ছা। আর যদি তা না হও, তবে আমি বুড়ো বয়েসে পান চিবোতে চিবোতে কোন এক বাদলঘন দিনে বসে বসে রোমন্থন করবো আজকের এই রুমালি ভালোবাসাময় সময়টাকে। নাতিপুতিকে তখন প্রথম প্রেমিকা আর এই রুমালটার গল্প শোনাবো। : প্লিজ, এভাবে বলো না। কেন আমি তোমাকে পাবো না? তুমি কি আমাকে চাও না? আমাকে ভালোবাসো না? - উত্তরটা আসলে একটু কঠিন। তোমাকে চাই আবার চাই না। ভালোবাসি আবার বাসি না। : হেয়াঁলি রাখো। আমি স্পষ্ট জানতে চাই। - তবে শোন। আমার প্রতিদিনের জীবন সংগ্রামের নির্মম বাস্তবতা তোমার জানা নেই। সেই জীবনে তুমি কখনো অভ্যস্ত হতে পারবেও না। তোমাকে একটা প্রশ্ন করি? : হ্যাঁ, করো। - একটু আগে একটা টং-এর দোকানের ছাউনিতে গা বাচিয়ে রিক্সা খুঁজছিলাম। খুব শীত শীত লাগছিলো, তখন চা খেয়েছিলাম ভাঙ্গা কাপে। আধধোয়া সে কাপে লেগেছিলো অনেক মেহনতি মানুষের ঠোঁটের ছোঁয়া, লেগেছিলো থুতুও যা এখনো আমার ঠোঁটে লেগে আছে। তুমি কি পারবে সেই ঠোঁটে চুমু খেতে?

কবিতা:-ভালবাসি তরে, বন্ধু ভালবাসি তরে, তর লাইগা মনটা আমার কাইন্দা কাইন্দা মরে । পুকুর পাড়ের পূর্ব পাশে আমার বন্ধুর বাড়ি, বন্ধুর মনটা সরল সোজা রস গোল্লার হাড়ি । আমি যখন পাগল হয়ে বন্ধুর ধারে আসি, ভালোবাসি বললে দেখি মুখে মুচকি হাসি । ডাকলে আসেনা না কাছে থাকে দূরে দূরে, দিবস রাত বন্ধুর চিন্তা মাথায় মাথায় ঘুরে । ভালবাসি তরে, বন্ধু ভালবাসি তরে, তর লাইগা মনটা আমার কাইন্দা কাইন্দা মরে ।

একটি কবিতা :-আমি হিমালয় পাদদেশে বিচ্ছুরিত প্রাণ খুজছি নিরবধি,-সাথে ঝরে যাওয়া ফুলগুলি তোমার। কত ফুট, আর কত মাইল বাকি? কত রাত্রি আর নির্ঘুম অপেক্ষায় কেটে যাবে দয়িতার স্মৃতি ফেড়ে? -তুমিই বলো, ব্যাহত অর্তনাদ, মন্দিভূত চাওয়া-পাওয়ায় কবে খুশি ছিলেম না। অথচ, দখিনা বাতাসে তোমার ঘনকালো কেশ উড়ছে আমি গৃহত্যাগে ছেড়েছি জায়গাটুকু -তোমার নৃত্যকলা, বেহালার সুর গৃহের সব কোণে পূর্ণ করুক। কাজল রেখা ! কতটুকু নিঃশ্বাস আর বাকি,- ভীরু চোখদুটি অপেক্ষায়, দেখবে বলে অভিশাপের বিষ নিক্ষেপণ, -তুমিই বলো, ফুল আর অমানুষের যুদ্ধে কতটা সুখ জোটে। নিষ্কম্প হৃদয়ে তোমার স্থান বরফের পাহাড়ে ঢাকা যেনো কোনো প্রাণের মৃত্যুের ইতিকথা, বরবাদ ! বরবাদ! তুমি বরবাদ হবে,- আমার স্বভাবের বৈপরীত্যে। কাজল রেখা! রাজভাষা বুঝি না,-প্রণয় কাব্যগীতি রচি অশুদ্ধতায় একবার কি তোমার চোখের ভাষা পেরেছি কি পড়তে? শুধু বিচ্ছেদের ষড়যন্ত্রে তোমার হাতের ফুলগুলি ঝরিয়েছি নিষ্ঠুরতায়। – তুমিই বলো, পানকৌড়ির মিছিলে কে কত রাজ্যে দখলে পাই! তোমার চোখের জলে আমি উত্তম তা জেনেছি তবুও, ঝরাপাতার মাঝে কি অস্তিত্ব পাও? কাজল রেখা! একটা যুদ্ধ হোক পরিচ্ছন্নতার, একবার শুদ্ধ হই তোমার জন্য, বিষবৃক্ষে অমৃত ফল হই একবার। একবার মানুষ হই, হিংস্রতার চাদরে কিছু মায়া উঠুক জমে।